লালনগীতি।সহজ মানুষ ভজে দেখনারে মন। কণ্ঠ ও যন্ত্রানুসঙ্গ: রাহুল দত্ত। গান SALUTE ৭। SILLY পয়েন্ট।
লালন ফকির, আমাদের অনেকেরই চেতনার পালনকর্তাও বটে। অনেক গভীর তত্ত্ব অত্যন্ত সহজে সুন্দর করে যিনি বোঝাতে পারেন তিনিই লালন ফকির৷ এই "ফকির" নামটি শুনলেই যেন মনে হয় কতকিছু পেয়ে গেছেন জীবনে। পরমাত্মার মধ্যেই ঈশ্বরকে খুঁজে পেতেন ফকির লালন শাহ। তাঁর বিশ্বাস ছিল, ধর্মীয় আচারাদি, নিয়মাবলী এবং সংকীর্ণতাই সেই মনের মানুষ এর সাথে যোগাযোগের পথে মূল অন্তরায়। তা মানুষকে সংকীর্ণমনা, অকর্মণ্য, কূপমণ্ডুক, কখনও হিংসাত্মক এবং পরষ্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন এবং করে রাখে। কাজেই হিন্দুদের মূর্তিপূজা বা ইসলামের কোরাণ্-নির্ভর ঈশ্বর-ভজনা অপেক্ষা সরাসরি মানুষ-ভজনাকেই সেই পরমাত্মার কাছে পৌঁছানোর উপায় বলে মনে করতেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করতেন, এক এক মানুষের এক এক রকম ব্যাখ্যায় “ধর্ম” বিভিন্ন রূপ ও অর্থ নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। লালন সাঁইজির কাছে “ধর্ম” মানে ছিল শুধুই মানুষ। আর সেই মানুষকে নিয়েই তাঁর এই গান, “সহজ মানুষ”। সেই কারণে সর্বপ্রকার সাধনসিদ্ধির জন্য তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে বলেছেন তাঁর এই গানে। কোথাও বা ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কটাক্ষও উঠে এসেছে তাঁর গানের কথায়। শুনলেই বোঝা যায়, এ গানের প্রতিটি কথা আজকের দিনেও কি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক৷ হিংসায় উন্মত্ব পৃথিবীতে, ভয়ানক দুর্যোগ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের দিনে মন্দির বা মসজিদ নির্মাণ নয়, বরং মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার নবজাগরণই যে মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র, লালন সাঁইয়ের এই গানটি যেন সেই বার্তাই পৌঁছে দেয়। গীতিকারঃ ফকির লালন শাহ কন্ঠ ও যন্ত্রানুসঙ্গঃ রাহুল দত্ত লেখাঃ রাহুল দত্ত ইউটিউব চ্যানেল কভারঃ ঐন্দ্রিলা চন্দ্র অলঙ্করণ ও সজ্জাঃ অর্পণ দাস সম্পাদনাঃ শৌভিক মুখোপাধ্যায়
#রাহুল দত্ত #ঐন্দ্রিলা চন্দ্র #অর্পণ দাস #শৌভিক মুখোপাধ্যায় #গান SALUTE #লালনগীতি #ফকির লালন শাহ