চড়াইদের জন্য বাড়ি : চড়াই সংরক্ষণের জন্য লড়ছেন ব্যাঙ্গালোরের 'স্প্যারো-ম্যান'
ব্যাঙ্গালোরের থমাস টাউনের গসপেল স্ট্রিটে ছ-কাঠা জমির ওপর গড়ে ওঠা বাড়িটা তৈরিই হয়েছে চড়াইদের জন্য। কাগজে-কলমে বাড়ির মালিক পরিবেশকর্মী এডউইন জোসেফ, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চড়াই সংরক্ষণের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।
চড়াই মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। মানুষের বসবাসের জায়গাতেই তার বাস। সাধারণত অরণ্যে কিংবা গাছে বাসা বাঁধে না তারা। বরং আশ্রয় নেয় বাড়ির ঘুলঘুলি কিংবা পুরনো নির্মাণের ফাঁক-ফোকরে। কিন্তু জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের বাসা বাঁধার জায়গা। জল বা খাবার পাচ্ছে না ঠিকঠাক। ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে এই প্রজাতি। এই ভাবনাচিন্তা থেকেই জোসেফ চড়াই-সংরক্ষণের ২০০৮ সালে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তিনি পুরোদস্তুর মন দেন প্রকৃতি সংরক্ষণে। হারিয়ে যেতে বসা চড়াইদের ফিরিয়ে আনতে শুরু হয় তাঁর লড়াই। সঙ্গে সহযোগী হিসেবে পেয়েছেন স্ত্রী সারাকে। তাঁরা দুজন মিলে বাসস্থানের হদিশ দিতে নিজের বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন ছোটো-খাটো একটি অরণ্য। নানা প্রজাতির প্রচুর গাছপালা লাগিয়েছেন। বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাগানে কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছেন চড়াইদের থাকার জায়গা। চড়াইদের কথা ভেবে প্রায় অ্যামিউজমেন্ট পার্কের কায়দায় বাড়িটি সাজিয়েছেন তিনি। চড়াইদের খেলার জন্য রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা, জলাশয়, গোলকধাঁধাঁ, হ্যাঙ্গিং নেস্ট।
ইতিমধ্যেই একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বীকৃতি জানিয়েছে জোসেফের এই উদ্যোগকে। এখন তাঁর বাড়িতে রয়েছে প্রায় ২৫০ চড়াই পাখি। ব্যাঙ্গালোর শহরে এমনিতে চড়াই যে খুব সুলভ তা নয়, কিন্তু জোসেফের বাড়িতে অতিথি আনাগোনার শেষ নেই।
................
#Sparrow Man #Edwin Joseph #conservation #environment #চড়াই #silly পয়েন্ট