জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলুপ্তির মুখে এমপেরর পেঙ্গুইন
অ্যান্টার্কটিকার শীতকাল, যখন গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৩৪ ডিগ্রির কাছাআছি ঘোরাফেরা করে, সেই তীব্র শীত সহ্য করে এরা ডিম পাড়ে ও ডিমকে রক্ষা করে। এমপেরর পেঙ্গুইন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বৃহত্তম এই পেঙ্গুইন প্রজাতি এবার বিলুপ্তির মুখোমুখি। U.S. Fish and Wildlife Service সম্প্রতি জানিয়েছে, আমেরিকার Endangered Species Act-এর আওতায় আনা হচ্ছে এদের। এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে সাতে ছয় লক্ষের কাছাকাছি হলেও গবেষকদের আশঙ্কা, ২১০০ সালের মধ্যেই অবলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ৯৮ শতাংশ এমপেরর পেঙ্গুইন।
ম্যাসাচুসেটের উডস হোল ওসিয়ানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের তথ্য জানাচ্ছে, বিগত ৩০ বছরে অন্ততপক্ষে ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে পেঙ্গুইন কলোনির সংখ্যা। কারণ তাদের প্রজননের হার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বরফ গলনের ফলে এমপেরর পেঙ্গুইনদের কলোনিগুলো তীব্র প্রজনন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এমপেরর পেঙ্গুইনদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাম্রাজ্য বলে পরিচিত হ্যালি বে কলোনি (Halley Bay colony)-তে গত কয়েক বছরে খারাপ বরফ-পরিস্থিতির জন্য বহু পেঙ্গুইন-শাবক জলে ডুবে মারা গেছে। ফলে, অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে এই প্রজাতির ভবিষ্যৎ। বরফ গলনের ফলে হ্যালি বে কলোনির অনেকটাই আজ অন্তর্হিত। একই ছবি কেপ ক্রোজিয়ারেও (Cape Crozier)। স্যাটেলাইটের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, নিরাপদে প্রজননের উদ্দেশ্যে ডসন-ল্যাম্বটন গ্লেসিয়ারে (Dawson-Lambton Glacier) ভিড় বাড়াচ্ছে প্রাপ্তবয়স্ক পেঙ্গুইনরা। এমপেরর পেঙ্গুইনরা লুপ্ত হলে বিপদের মুখে পড়ে যাবে গোটা অ্যান্টার্কটিকার বাস্তুতন্ত্র।
আরও পড়ুন : 'ষষ্ঠ মহাসাগর' রয়েছে ভূপৃষ্ঠের তলদেশেই, দাবি গবেষকদের
সেন্টার অব বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি-র ডিরেক্টর শে উলফ বলেছেন, "পেঙ্গুইনদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর - তাঁরা ফসিল ফুয়েল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেন কিনা, তার ওপর।"
...............
ঋণ : www.washingtonpost.com
#Emperor penguins #extinction #climate change #silly পয়েন্ট