রবীন্দ্রনাথের নামে নামকরণ ডাইনোসরের
ভারতের মাটিতে তার জন্ম, ভারতের মাটিতেই বিচরণ। ফলে রবীন্দ্রনাথের সর্বগ্রাসী প্রভাব থেকে রেহাই পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। হোক-না সে এক ডাইনোসর। কথায় বলে, সত্য গল্পের চেয়েও আশ্চর্যের। রবীন্দ্রনাথের এই ডাইনোসর-যোগ সেকথাই প্রমাণ করে। বহু বছর আগে ভারতের বুকে দাপিয়ে বেড়ানো সরোপড প্রজাতির একটি ডাইনোসরের নামকরণ হয়েছে আমাদের রবি ঠাকুরের নামেই। খবরটি অবশ্য ১৯৬০ সালের। গত ২০১৯ সালে ২২ অক্টোবর ভারতীয় বনদপ্তরের অফিসার প্রবীণ কাশওয়ানের একটি টুইট এই পুরনো খবরটিকে আবার জনসমক্ষে এনেছিল। এ-বছর সদ্য-পেরিয়ে আসা রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও এই তথ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে উৎসাহ।
১৯৬০ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের আদিলাবাদ জেলা (এখন তেলেঙ্গানার অন্তর্ভুক্ত) থেকে প্রথম এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। জীবাশ্মটি আবিষ্কার ও সংগ্রহের কৃতিত্ব ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের ভূতাত্ত্বিকরা ১৮ মিটার লম্বা ও ৭ টন ওজনের এই প্রাণীটি একটা সময় দাপিয়ে বেড়াত ভারতের মাটি। এই সরোপড গোত্রের ডাইনোরাই ছিল ডাইনো-কুলের সবচেয়ে বৃহদাকার প্রাণী। লম্বা গলা ও লম্বা পা ছিল এদের বৈশিষ্ট্য। সরোপড গোত্রের ডাইনোসরদের মধ্যে এটিরই প্রথম সম্পূর্ণ জীবাশ্ম পাওয়া যায়। আর সে-বছরই ছিল রবীন্দ্রনাথের শততম জন্মবার্ষিকী। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানানোর জন্য তাঁর নামেই এই ডাইনোসরটির নাম রাখার সিদ্ধান্ত হয়। রবি ঠাকুরের পদবী অনুসারে প্রাণীটির নাম রাখা হয় বারাপাসরাস ট্যাগোরেই (Barapasaurus Tagorei)।
প্রবীণ কাশওয়ান তাঁর টুইটে ভারতে ডাইনোসরদের বিচরণ বিষয়ে আরও কিছু মূল্যবান ঐতিহাসিক তথ্যও তুলে ধরেছিলেন। তবে সব ছাপিয়ে এই তথ্যই কেড়ে নিয়েছে আপামর ভারতবাসীর মনোযোগ। কবিগুরুর নামাঙ্কিত এই ডাইনোর জীবাশ্ম সযত্নে রক্ষিত আছে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটে।
..................
তথ্যঋণ : hindustantimes.com, অজয়কুমার ঘোষ