নাটক

আজগুবি (দ্বিতীয় পর্ব)

সৌপ্তিক July 18, 2020 at 7:30 am নাটক

পরিবর্তিত অবস্থানে আবার সেই নামছাড়া চরিত্ররা এসে নানা কথা এলোপাতাড়ি ভাবে ছুড়ে দেয়।

----: সেলফি! হ্যাশট্যাগ!
----: না না পোকেমন গো!
----: ইয়ো ইয়ো হানি সিংগার!
----: উৎসব উৎসব! অক্টোবর চলে এল, ডিস্কে ভাসানের গান রেডি !
----: চামকু জিন্স, ঝিঙ্কু সানগ্লাস।
----: আরে গেলাসে গেলাসে ঠন ঠন!
----: পৃথিবীতে বনবন করতে থাকা দুটি তারা যদি পরস্পরের দিকে সমান বা অসমান, অর্ধেক বা গোটা শরীর বা
মন নিয়ে যদি জাপটে ধরে তাদের বলে...
----: ভালগারিটি! অশ্লীলতা।
----: কিংবা প্রবল বৃষ্টি!
----: কিংবা চুম্বন!
----: পুরো পর্নোগ্রাফি।
----: ঈশানে মেঘ জমেছে।
----: তাতে কার বাপের কী?
----: এ তো তোমার শাওয়ারের জল নয় হে বন্ধু, যে ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে কমিয়ে নেবে? ক্লাস সিক্সে পশ্চিমি
ঝঞ্ঝার টিকা পড়োনি?
----: কিংবা মদনবাণ, খাজুরাহো।
----: এই রে আবার নামল, ছাতা খোল।

এইবার কথা বলবে দুজন ল্যাম্পপোস্ট। সাধারণত ল্যাম্পপোস্ট মানুষকে অনেক কথা বলে। কিন্তু এখানে তারা কথা বলবে নিজেদের মধ্যে।

ল্যাম্পপোস্ট ১: ওই দেখ, আবার নামল।

ল্যাম্পপোস্ট ২: মেঘটা জমছিল অনেকক্ষণ থেকেই।
ল্যাম্পপোস্ট ১: আহা, বেচারা চড়ুই, বললাম বেরোস না। ডানা ভিজে গেলে উড়তে পারবে না।
ল্যাম্পপোস্ট ২: কাগজের নৌকা বানায় না কেউ কদ্দিন, এখন সবাই হোয়াটসঅ্যাপ করে।
ল্যাম্পপোস্ট ১: ওই দেখ্‌, মিসেস সেনগুপ্তা!
ল্যাম্পপোস্ট ২: কী মিষ্টি লাগছে রে চুলটা কেটে!
ল্যাম্পপোস্ট ১: হাতে আবার সেলফি স্টিক! নির্ঘাত তাকে আজ অফিস থেকে জলদি ফিরতে হবে।
ল্যাম্পপোস্ট ২: যত ঢং!
ল্যাম্পপোস্ট ১: কেন ঢং কেন রে?
ল্যাম্পপোস্ট ২: ধুর ধুর, এভাবে হয় নাকি বলে কয়ে?
ল্যাম্পপোস্ট ১: তবে?
ল্যাম্পপোস্ট ২: তবে আর কী? আকাশের গায়ে মেঘ দেখলে আপনি যাবে কাজে ভুল হয়ে। লাইভ ওয়াল পেপারে
বৃষ্টি দেখে নির্ঘাত গেছে চোখ পচে। স্বাদ গেছে ভুলে কেমন লাগে প্রথম জলের শিরশিরানিটা।
ল্যাম্পপোস্ট ১: আমার যেন বুক কাঁপে!
ল্যাম্পপোস্ট ২: হুঁ।
ল্যাম্পপোস্ট ১: কী হল? মুখ ভার কেন?
ল্যাম্পপোস্ট ২: বৃষ্টি! মন ভারও করে, হালকাও করে।
ল্যাম্পপোস্ট ১: সেনগুপ্তা খুব লাকি, না রে?
ল্যাম্পপোস্ট ২: জানি না।
ল্যাম্পপোস্ট ১: কী জানিস?
ল্যাম্পপোস্ট ২: বৃষ্টি পড়লে তোর দিকে...
ল্যাম্পপোস্ট ১: কী?
ল্যাম্পপোস্ট ২: তাকাতে ভয় হয়।
ল্যাম্পপোস্ট ১: কেন? ভয় কীসে?
ল্যাম্পপোস্ট ২: জানি না, ভয় হয়।
ল্যাম্পপোস্ট ১: আমার ভাল্লাগে। যেন গায়ের উপর এক পর্দা। তোর গায়ের উপর বিছিয়ে দিয়েছে শরৎকালের
মেঘ আর বৃষ্টি। একটু কাছে আসবি?
ল্যাম্পপোস্ট ২: না।
ল্যাম্পপোস্ট ১: কেন?

ল্যাম্পপোস্ট ২: কেন তুই জানিস না?
ল্যাম্পপোস্ট ১: তোকে নাকি যেতে হবে?
ল্যাম্পপোস্ট ২: যেতে তো হয়, সব্বাইকেই যেতে হয়।
ল্যাম্পপোস্ট ১: কে বলল?
ল্যাম্পপোস্ট ২: কে বলল মানে? চাইলেই থাকা যায়?
ল্যাম্পপোস্ট ১: কেন নয়?
ল্যাম্পপোস্ট ২: পারবি এই একই আলোর দিকে তাকিয়ে ভোরের শুকতারা দেখে ঘুমিয়ে পড়তে?
ল্যাম্পপোস্ট ১: পারব না?
ল্যাম্পপোস্ট ২: চারিদিকটায় চেয়ে দেখ্‌, কত কত বিদ্যুতের তার গেছে আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে। নড়চড়
হলেই, ছোবল ছোবল ছোবল। এ বলবে খারাপ, ও বলবে ডেঞ্জার, সে বলবে নষ্ট হয়ে গেছে। সারা গায়ে লেবেল
আটকানো- অসুখ সারান।
ল্যাম্পপোস্ট ১: কাছে আসবি?
ল্যাম্পপোস্ট ২: না।
ল্যাম্পপোস্ট ১: না কেন?
ল্যাম্পপোস্ট ২: ওই দেখ, ছাতা মাথায় একটা লোক। ভয় করে খুব সবাই আমাদের। কখন সব বৈদ্যুতিক তারের
বাঁধন নিয়ে ছিটকে পড়ব। সারা শহরটা তিরতির করে কাঁপতে থাকবে। (লোকটি ছাতা মাথায় ল্যাম্পপোস্টের
সামনে এসে দাঁড়ায়। ল্যাম্পপোস্ট ঘেঁষে দাঁড়িয়ে প্যান্টের চেন নামায়।)
ল্যাম্পপোস্ট ১: এ কী! লোকটা দাঁড়াল যে!
ল্যাম্পপোস্ট ২: ওমা! কী করছে! এত ঘেন্না আমাদের উপর?
ল্যাম্পপোস্ট ১: দিল পা-টা ভিজিয়ে।
ল্যাম্পপোস্ট ২: ইসসস! লোকটা এখনও দাঁড়িয়ে আছে। একবার কাছে আসবি?
ল্যাম্পপোস্ট ১: আসব?
ল্যাম্পপোস্ট ২: আয়! তোর বুকের মধ্যে সমস্ত শিরশিরে বিদ্যুৎ বেঁধে দেব।
ল্যাম্পপোস্ট ১: আয়, মেঘ ডাকছে।
ল্যাম্পপোস্ট ২: ঝড় উঠবে।
ল্যাম্পপোস্ট ১: আকাশে বিদ্যুৎ চমকাল।
(বাজ পড়ার শব্দ ও বিদ্যুৎ ঝলকানির সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার হয়ে যায়, চারিদিক। একটি নিউজ বুলেটিনের
শব্দ শোনা যায়: শহরে পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় মৃত এক, ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে থাকাকালীন ব্যক্তিটির মৃত্যু

ঘটেছে। বজ্রপাত ও ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকার্যে বিলম্ব ঘটেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরে বজ্র
বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।)

মৃত্যু সুরের জন্ম দেয়। সুর বয়ে আনে মানুষ, তাদেরই গলায় শোনা যায়-

চুন খসে যায় দেওয়াল থেকে
শরীর ভীষণ ঘামে।

কার ঠিকানায় যাচ্ছে চিঠি নীলচে গোপন খামে?

সারা শহর আঁধার হল
বৃষ্টি যেন নামে।

তবু সূর্য ওঠে আরও
হাজারো হাজারো মানুষ
নামতে থাকে পথে।
তবু স্বপ্ন মরে কত-
মৃতের সাথে মৃতের দেখা হচ্ছে যে রাজপথে।
চক্ষু জোড়া রং মেখেছি,
সং সেজেছি বেশ,
চশমা ধরে টান দিলে ভাই-
ভবের খেলা শেষ।

খেলা শুরু বা শেষ হওয়ার জন্য একটা নেশা লাগে। একটু অনিয়ন্ত্রিত অ্যাড্রিনালিনেরও সুযোগ থেকে যায়। নেশাতুর সেরকম মানুষরা এই গানের সঙ্গে মরা থেকে রাম নামে নিজেদের গায়ে ছাই মাখাচ্ছিল। তাদের মধ্যে থেকে একটা ছাইগাদা মানুষ উঠে মইয়ের উপরে উঠে বলে

_____: হাঁটবে কোথায়? তোমার হাঁটার জন্য শহরের বৃষ্টি হসপিটালের গন্ধ ছাড়া কিচ্ছু রেখে যায়নি। একটা আস্ত মড়া টলমল করে হাঁটছে। এগোচ্ছে নাকি পিছোচ্ছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আসলে সেই সাপলুডোর খেলা। মইয়ে পড়লে উন্নতি উন্নতি উন্নতি আর সাপের মুখে অধঃপতন !

আমরা যারা অর্ধশিক্ষিত - দাস ক্যাপিটালের দাস, তারা বলব হায়ারার্কি! ইয়ার্কি-টিয়ার্কি মারতে মারতে সভ্যতার শেষ সীমানায় দাঁড়িয়ে আমরাও ইচ্ছে হবে, একটা ক্যাপুচিনো, একটা টিশার্ট চে গ্যেভারার ছবি ছাপা- সেলফি স্টিক-টিক টক-টিক টক-টিক টক- চাইনিজ মাল-মেইনল্যান্ড চায়না-নাইটক্লাব-টাকিলা শটস- মিউজিক! যখন আকণ্ঠ পান করে বাড়ি ফিরে এসে দেখবেন ক্যাপিটাল আপনার পকেট থেকে সোজা চলে গেছে হনুলুলু আর দাস বলতে আমি কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা কিংবা

মানুষ যখন হ্যাং করে যায়, মানুষই তাকে হ্যাঙার থেকে বার করে আনে। ধাক্কা মেরে বাঁচিয়ে তোলে। আর যদি না বাঁচাতে পারে তখন অন্য মানুষ শূন্যস্থান পূরণ করে। মানুষের ধর্ম হাওয়ার মতোই। তাই ছাইমাখাদের কেউ একজন ছাই মুছতে মুছতে বলে–

_____: এই দুনিয়ার মধ্যে একটা কোনও আশ্চর্য গলি- যেখানে বাস করে আপনারই মতো আরও বাইশটি পরিবার, সেখান থেকে আপনি হেঁটে চলেছেন বড়ো রাস্তার দিকে। এই সময়ে আপনি যদি ওই গলির মধ্যে দেখতে পান একটা সামান্য আলো, তাহলে আন্দাজ করা যায়, আপনি মরে যাননি। আপনার মতো আর-এক গলির বাসিন্দা কন্যাটি বিগত সাড়ে সাত বছরের মতো আপনারই জন্য অপেক্ষা করছেন ঘর বাঁধবে বলে। আপনি যেহেতু মদ খাননি এবং খান না বিন্দুমাত্র তাই এই সুন্দর স্বপ্ন আপনাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সদরের রাস্তার দিকে। আপনার মনে হবে গোটা শহর থমকে গিয়ে আপনাকে দেখছে, কারণ আপনার কাঁধে এসে হাত রেখেছে আপনার চোখে দেখা এই গ্রহের শ্রেষ্ঠ মানবী।

ওই ছাইমাখা মানুষদের কাছেই ছেলেটি দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষায়। মইটি তার পিছনেই। সেদিক থেকে নারীটি এসে হাত রাখে ছেলেটির কাঁধে।

মনোরমা: আজ কেউ দেখা করে এভাবে?
ছেলেটি: অনেক দিন ভাবছিলাম তোমায় একবার দেখব।
মনোরমা: ভিডিও কল করতে পারতে।
ছেলেটি: না, আসলে একটা কথা ছিল, সামনাসামনি...
মনোরমা: তা কাল বললেই তো পারতে... কাল থেকে তো দেখা হবেই। আজ এত লোক বাড়িতে, কত ঝক্কি নিয়ে
আসতে হল জানো? তেমন হলে ফোনে বলতে।

ছেলেটি: না, তাহলে তুমি আসতে না...
মনোরমা: কী বলছ বলো তো? আমি না কিছুই...
ছেলেটি: না, আমি বলছি। মানে এটা বেশ অনেকদিনের ব্যাপার, আমি তোমায় বলে উঠতে পারছিলাম না। তাই মনে
হল, আজকেও না বললে অন্যায় করা হবে। মানে একটা ইয়ে আর কি! একটা গোপন...

মনোরমা: রোগ?
ছেলেটি: না না, রোগ না... ইয়ে।
মনোরমা: সম্পর্ক? চেপে গেছিলে? কে সে?
ছেলেটি: কেউ না, ইচ্ছে...
মনোরমা: মানে?
ছেলেটি: মানে একটা গোপন ইচ্ছে...
মনোরমা: কী ইচ্ছে?
ছেলেটি: দ‍্যাখো, আমাদের প্রেম বলতে তো ওই ট্রেনের আসা যাওয়াটুকু বা বড়োজোর বিজয়া সম্মেলনীতে
নকুলদার বাড়িতে গানের রিহার্সাল। আর এর মাঝে তোমায় নিয়ে তেমন করে ঘুরতে টুরতে যাওয়াও তেমন হয়নি...
বাইরে খাওয়া বলতে পাঁচের ঝালবাদাম বা ডালমুট। তাই...
মনোরমা: তাই আমি ছেড়ে চলে গেছি? কাল আমাদের বিয়ে ক্যান্সেল হয়ে গেছে?
ছেলেটি: না না, আসলে ব্যস্ততার ফাঁকেও তো ইচ্ছে করে আমার তোমায় নিয়ে...
মনোরমা: তো কালকের পর সে ইচ্ছে ফলালে হচ্ছিল না?
ছেলেটি: আরে না। কাল থেকে তো সবই অন্যরকম। একটা নতুন অধ্যায়। আমি চাই না আগের অধ্যায়ের শেষ
পাতায় একটা ছাপার ভুল থেকে যাক।
মনোরমা: হাসিও পায়!
ছেলেটি: হেসো না মনোরমা, চলো আজ একসঙ্গে ডিনার করব।
মনোরমা: অ্যাঁ! ডিনার? কোথায়?
ছেলেটি: এই তো এখানে। ডায়মন্ডে।
মনোরমা: পাগল হলে নাকি?
ছেলেটি: না কোরো না প্লিজ! একটাই তো দিন।
মনোরমা: একদিন মন ভরে খাওয়ার জন্য সারা মাস পেট ভরে খাওয়া ছাড়া যায় না।
ছেলেটি: প্লিজ! ছাড়তে হবে না দেখো, অবস্থা ঠিক পালটে যাবে, প্লিজ... আজকের দিনে...
মনোরমা: হয়েছে, চলো।
মইয়ের সামনে একটি ছাইমাখা মানুষ ডোরবয়ের মতো করে মইতে ঢুকতে সাহায্য করে যুগলকে। বহুতল মইয়ের
সর্বোচ্চ তলে যুগল পৌঁছে যায় সহজে। বেমানান হলেও উত্থান কি ঘটে না নাকি?
ছেলেটি: কী অদ্ভুত লাগছে না?
মনোরমা: না।

ছেলেটি: মনে হচ্ছে না, যেন টাইটানিক ছাদের জাহাজে আমরা...
মনোরমা: উলটোপালটা বকছ তুমি।
ছেলেটি: আসলে আগে কখনও...

চকচকে একজন ওয়েটারের এই মুহূর্তে এসে জিজ্ঞাসা করা কর্তব্য-

ওয়েটার: Sir, mineral or regular?
ছেলেটি: মেনুকার্ডটা মানে দাম...
মেয়েটি: Regular. Can you bring us a menu list please?
ওয়েটার: Of course.
এই শ্রেণির ওয়েটারদের কথার শেষে মিষ্টি এবং কৃত্রিম হেসে বিদায় নেওয়ার সহবত রপ্ত করানো হয়।
ছেলেটি: আমি ঘাবড়ে গেছিলাম... ভাগ্যিস সামলে নিলে...
মেয়েটি: ও জলের কথা জানতে চেয়েছিল।
ছেলেটি: তোমার মিটিং কি এসব ডায়মন্ড-টায়মন্ডেও...
মেয়েটি: হুম, কিন্তু এখানকার ওয়েটারদের মাইনে আর আমার তোমার মাইনেটা প্রায় এক।
ছেলেটি:খোঁটা দিচ্ছ কেন?
মেয়েটি:বলছি না।
ছেলেটি: দ‍্যাখো, কী সুন্দর নীলচে রং। ঝুলন্ত মোমবাতি, পায়ের নিচে রঙিন মাছ। এত সুন্দর নকশা কাটা কাচের
দেওয়াল- রূপকথার বরফের প্রাসাদের মতো। এই কাচের জানলা দিয়ে এই ঘিঞ্জি শহরটাকেও কী অদ্ভুত মায়াবী
লাগে!
মায়ার মেনুলিস্ট হাতে ওয়েটার হাজির হয়।
ওয়েটার: Sir, your menu.
ছেলেটি: চাউমিন না মোগলাই? কোন্‌টা? (গোপনজনকে করা গোপন প্রশ্ন যেভাবে করতে হয় সেরকম ভাবেই
নিচুস্বরে বলে ছেলেটি)
মেয়েটি: এখানকার চাইনিজ আর কন্টিনেন্টালটাই স্যারেরা নেন। দাম বুঝে দ‍্যাখো।
ওয়েটারটির স্বভাব যেহেতু আলাদিনের জিনির মতো, তাই মালিকের লাভার্থে সে বলে ওঠে-

ওয়েটার: Sir, if you wanna go with Chinese, then I shall suggest you two Special Sanghai Soup
as starter and in main course you can have, Yue Yung Spicy Barbequed Fish and Chicken Pan
Fried Noodles. In Oriental you may try...
ছেলেটি: ওইটে। আপনি যেটা বললেন।
মেয়েটি: মেনুকার্ড থেকে একবার দামটা...(আন্তরিক সংসারবৃত্তীয় মানুষের সচেতন গলায় কথা বলে চরিত্র।)
ছেলেটি: আহ্‌! একটাই তো দিন।
ওয়েটার: Please confirm, sir, two Special Sanghai Soup as starter and in main course you can
have, Yue Yung Spicy Barbequed Fish and Chicken Pan Fried Noodles. Right?
মেয়েটি: হ্যাঁ।
ওয়েটার: And any drinks, hard or soft, anything of your choice...
মেয়েটি: না।
ওয়েটার: Please wait for ten minutes for your starter.
জিনি আবার প্রদীপের কোনও লাভজনক কন্দরে আত্মগোপন করেছে জেনে ছেলেটি কথা তোলে-
ছেলেটি: দেখেছ মনোরমা, নীলচে রংটা আরও ঘনিয়ে এসেছে চারিদিকে। ওই উড়ন্ত মোমবাতি থেকে একটা
আভা তোমার গালে পড়ে তোমার চামড়ায় একটা অদ্ভুত দীপ্তি এনে দিয়েছে। তোমাকে আমার আগে কখনও
এতটা ছুঁতে ইচ্ছে করেনি- যতটা আজ এই প্রাসাদের মধ্যে ঢুকে করছে।
Diamond Monoroma, Such a Beautiful Place. Sky is Much Blue here rather than any other
places in Earth, Water is sweeter than falls. My dream of having you, Locked in this Palace
Night.
আমার সাড়ে সাত বছরের প্রেমের সার্থকতা যেন এই রাতের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। কেবল আর দশ মিনিট,
তারপর...

(চলবে)

#নাটক

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

71

Unique Visitors

177733