বিশ্বজুড়ে জলসংকটের মোকাবিলায় ২০০ টি ম্যারাথনে দৌড়বেন অস্ট্রেলীয় আইনজীবী
সারাজীবনে একটি ম্যারাথনে অংশ নিতে পারাটাই অনেকের কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবী ও উদ্যোক্তা মিনা গুলি (Mina Guli) তাতে সন্তুষ্ট নন। সংখ্যার বিচারে পঞ্চাশ পেরিয়েছে তাঁর বয়েস। তাতে থোড়াই কেয়ার। একটি-দুটি নয়, গোটা বছর জুড়ে মোট ২০০ টি ম্যারাথনে অংশ নেবার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। তবে শুধুই ম্যারাথনে অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জন না, মিনা-র রয়েছে বৃহত্তর এক উদ্দেশ্য। বিশ্ববাসীকে জলসংকটের ভয়াবহ পরিণাম বিষয়ে সচেতন করতে চান তিনি।
২২ মার্চ, বিশ্ব জলদিবস উপলক্ষ্যে মিনা-র মাথায় এই ভাবনা আসে। ইতোমধ্যে ১২৭ টি ম্যারাথনে তিনি দৌড়েছেন। সব মিলিয়ে অতিক্রম করেছেন প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পথ। তিনি নিজে Thirst Foundation নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান আধিকারিক, যা জলসংকট নিয়েই কাজ করে। আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে করতেই এই দিকে মিনা-র মনোযোগ যায়। তিনি নিজের পেশার পাশাপাশি জলসংকট নিয়ে কাজ সচেতনতামূলক কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। মিনা-র কথায়, "জলসংকট কেন আমাদের সংবাদপত্রগুলোর প্রথম পাতায় জায়গা পাচ্ছে না? অরণ্যধ্বংসের খবর জায়গা পাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা হল, সারা বিশ্বজুড়ে অরণ্যভূমির চেয়েও তিন গুণ বেশি হারে লুপ্ত হচ্ছে জলাশয়। বহু দেশে পানীয় জলের কল, কুয়ো, পাইপলাইন ইত্যাদির যথাযথ ব্যবস্থা নেই। প্রতি দশ জনে একজন মানুষ, সব মিলিয়ে পৃথিবীর ৮০০ মিলিয়ন মানুষ আজ পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে ভুগছে। তবু এই নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতা নেই।" ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীর ৬০ শতাংশ মানুষ পানীয় জলের সংকটে জেরবার হবেন, এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে বিভিন্ন সমীক্ষা। মিনা জানিয়েছেন, তিনি অ্যাথলিট নন। ছোটবেলায় কোনোদিনই দৌড় বা খেলাধুলোয় আগ্রহ বোধ করেননি। কিন্তু কোনও কোনও অঞ্চলে ব্যবহারযোগ্য জল আনার জন্য মানুষকে মাইলের পর মাইল যেতে হচ্ছে দেখে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলে যায়। মিনা জানিয়েছেন, "আমি চাই না আমার সন্তানেরা Water Refugee হোক। আমি ম্যারাথনকেই আমার প্রচারের হাতিয়ার করতে চাই। জল কিন্তু নলকূপ বা কল থেকে আসে না। জল আসে স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে। প্রকৃতির ভারসাম্যকে নষ্ট করলে জলের অভাবে শেষ হয়ে যাবে জীবকুলকে। "
...............
ঋণ : euronews.green
#water crisis #marathon #Mina Guli #Thirst Foundation #silly পয়েন্ট