নিবন্ধ

রে কামিংস: পাল্প কল্পবিজ্ঞানের বিস্মৃত নায়ক (দ্বিতীয় কিস্তি)

সুদীপ চ্যাটার্জী Nov 13, 2021 at 6:42 pm নিবন্ধ

প্রশ্ন উঠতে পারে, যে সাহিত্যিককে সমালোচকরা তুলোধোনা করে ছেড়েছেন, তাঁকে একদা ‘আমেরিকান এইচ জি ওয়েলস’ বলা হয়েছিল ঠিক কী কারণে? রে কামিংস-এর বেশিরভাগ বই কপিরাইট ফ্রি হয়ে গেছে, কিন্তু বর্তমান যুগে অনেক লেখার কপিরাইট ‘রিনিউয়াল’ হচ্ছে না। লেখকের অনিচ্ছাসত্ত্বেও যাঁর লেখা বার বার রিপ্রিন্ট করা হয়েছে, তাঁর পাঠকপ্রিয়তা না থাকা কি আদৌ বাস্তবসম্মত? লিটহাব, গুডরিডস আর অন্যান্য সাহিত্য প্ল্যাটফর্মে যখন পাল্প সাহিত্য নিয়ে শত শত আলোচনা আর রিসার্চ পেপার লেখা হচ্ছে, তাঁর সম্পর্কে প্রায় কোনো তথ্য নেই। রে কামিংস, যিনি আমেরিকান পাঠকদের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত করতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন, তিনি এভাবে ব্রাত্য হয়ে গেলেন কীভাবে?

সত্যিই কি তিনি নিকৃষ্ট মানের সাহিত্য রচনা করতেন? না তাঁকে বুঝতে আমাদের ভুল হয়েছে?

রে কামিংসকে নিয়ে লেখা সাহিত্য সমালোচকদের কিছু মতামত ও অভিযোগের ফিরিস্তি দেখে নেওয়া যাক! পাশাপাশি আমার বক্তব্যও তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।



১) কামিংসের ভাষায় কোনো কাব্যময়তা নেই। ‘ভিক্টোরিয়া ইরা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ এর মতোই তাঁর লেখা। সপাট, নিরাবরণ ভাষায় মহৎ সাহিত্য হয় না। 

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, কথাটা মোটেও সত্যি নয়। রে কামিংস যে ধরনের সাহিত্য রচনা করতে এসেছিলেন, সেই জন্যে তাঁর ভাষা একেবারেই যথাযথ ছিল। থাইরিল এল ল্যাডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কামিংস জানিয়েছিলেন, পাঠকদের বিজ্ঞানের জগত সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল। এডিসনের সহকারী ও টেকনিকাল রাইটার হিসেবে কাজ করার সময়ে তিনি দেখেছিলেন, সামরিক আধিকারিকদের বৈজ্ঞানিক তথ্য বোঝাতে গিয়েও হিমশিম খেয়ে যেতে হত ‘সাইন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কমেটি’র কর্তাদের। স্বয়ং থমাস আলভা এডিসনও মাঝে মধ্যে ধৈর্য হারিয়ে ফেলতেন।

প্রশিক্ষিত আর্মি অফিসাররা যেখানে বৈজ্ঞানিক তথ্য বুঝতে পারছেন না, সেখানে সাধারণ পাঠকদের সে কথা বোঝাতে গেলে ভাষার কারিকুরি ব্যবহার করার কোনো অর্থ আছে বলে মনে করেননি কামিংস। সুতরাং ইচ্ছে করেই সহজ ভাষার ব্যবহার করেছেন, কিন্তু কাহিনীকে মুহূর্তের জন্যেও একঘেয়ে হতে দেননি। কামিংসের সাহিত্য যে ‘পেজটার্নার’ হিসেবে সর্বাধিক নম্বর পাবে, সেটা হয়তো তাঁর সমালোচকরাও অস্বীকার করতে পারবেন না। 

এই প্রসঙ্গে ইন্টারনেট থেকে পাওয়া একটা ঘটনার কথা জানানো যাক। বছর চারেক আগে আয়োজিত এক সাহিত্য সম্মেলনে ভাষা নিয়ে আলোচনা করার সময় এক ফরাসি ভাষাবিদ লেখকের নাম না জানিয়ে দু’টো লাইন উদ্ধৃত করেন। সম্মেলনে উপস্থিত অনেকেই ভাষার সেই নমুনাকে ‘পারপল প্রোজ’-এর সেরা উদাহরণ বলে জানান। তখন সেই ভদ্রলোক বলেছিলেন, ভাষা ব্যবহার প্রত্যেকের কাছে আপেক্ষিক। অনেকের কাছে যা উত্কৃষ্ট সাহিত্য বলে মনে হচ্ছে, তাতে তিনি বর্ণবিদ্বেষের গন্ধ পাচ্ছেন। ফলে তাঁর মতে এই ভাষার ব্যবহার 

নিতান্তই নিকৃষ্ট মানের।

"The Crimson Sensua, a profligate, debauched woman who, as queen, would further oppress the workers. And Blanca, a white beauty, risen from the toilers to be a favorite at the Court."

বলা বাহুল্য, লেখাটি রে কামিংসের। তাঁর লেখা ‘ফ্যান্টম অফ রিয়ালিটি’ বইয়ের একাংশ। কামিংস বর্ণবিদ্বেষী ছিলেন কি না সেটা পরের কথা, কিন্তু প্রয়োজনে যে তিনি উত্কৃষ্ট ভাষা ব্যবহার করতে পারতেন সে নিয়ে শত শত উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। 

২) কামিংস হার্ড সায়েন্টিফিক ফ্যাক্টসকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে গল্পের গরু গাছে চড়িয়ে দিতেন।

পৃথিবীর প্রতিটা কল্পবিজ্ঞানের লেখককে এই অভিযোগটা শুনতেই হয়। জুলে ভার্ন থেকে ব্র্যাডবেরি, ক্রিকটন থেকে সিক্সিন লিউ প্রত্যেকেই নাকি বিজ্ঞানের তথ্যকে রঙ চড়িয়ে প্রস্তুত করেছেন। আদতে যে তাঁরা লেখক, এ কথা অনেকেই ভুলে যান। 

কামিংস কোনোদিনই দাবি করেননি যে তিনি হার্ড সায়েন্টিফিক ফ্যাক্টস অনুসরণ করে গল্প লিখেছেন। বিজ্ঞানের উপাদান থাকলেও সেটা মূল কাহিনীতে ততটা গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু তা বলে যে কামিংস বৈজ্ঞানিক গবেষণা আর তথ্য সম্পর্কে একেবারে অনভিজ্ঞ ছিলেন, সেটা একেবারেই ভুল। ‘Decompression’ ও ‘Orbital Dynamics’ সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য দিয়েছেন, প্রয়োজনে ‘Gravity rays’ আর ‘Luminiferous Ether’ সম্পর্কে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

‘দ্য গার্ল ইন দ্য গোল্ডেন অ্যাটম’-এর এক চরিত্রের এই সংলাপটা দেখা যাক—

“What I believe is that things can be infinitely small just as well as they can be infinitely large. Astronomers tell us of the immensity of space. I have tried to imagine space as finite. It is impossible. How can you conceive the edge of space?”

যে সময়ে এই উপন্যাস লেখা হয়েছিল, সে সময়ের মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে দু’টো মতবাদ প্রচলিত ছিল— বিগ ব্যাং থিওরি ও স্টিডি স্টেট মডেল। দু’দলের বৈজ্ঞানিকদের মতবাদ আর আলোচনা মাঝেমাঝেই সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে আসত। এই লাইনগুলো দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, কামিংস শুধু সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক জগতের খবরই রাখতেন না, যুক্তিসম্মত ভাবে বিগ ব্যাং থিওরিকে সমর্থনও করতেন। 

আবার ‘দ্য গার্ল ইন দ্য ইনফিনিট স্মলনেস’ উপন্যাসে পরমাণুর ভিতর অবস্থিত ‘হেলোস’ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে কামিংস দৃশ্যমান মহাবিশ্ব আর তার বাইরের জগত নিয়েও তাঁর চিন্তার কথা জানিয়ে দিয়েছেন—

“Something must be beyond—something or nothing, and even that would be more space, wouldn't it?"

৩) কামিংস অল্পবয়সীদের জন্যে লিখতেন, কিন্তু তাঁর লেখায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার সস্তা উপাদান ছাড়া শিক্ষণীয় কিছুই ছিল না। কল্পবিজ্ঞানের গল্প লিখলেও বৈজ্ঞানিক সচেতনতার জন্যে তিনি কিছুই করেননি।

এই কথা শুনে বলতেই হচ্ছে, সমালোচকরা সম্ভবত কামিংসের লেখা না পড়েই এই মতামত দিয়েছেন। তাঁর প্রতিটা লেখায় বিজ্ঞান ও প্রকৃতিকে সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বস্তুত তিনি চেষ্টা করতেন, অল্পবয়সীরা বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হোক, কিন্তু প্রকৃতির অসীম শক্তি ও রহস্যকে সম্মান করতেও শিখুক। এর চেয়ে বড় শিক্ষা আর কিছু হয় বলে আমার মনে হয় না। 

‘দ্য ওয়ার্ল্ড বিয়ন্ড’ গল্পের এই লাইনগুলো পড়লেই বোঝা যায়, কামিংস পাঠকদের বিজ্ঞানের অপরিসীম সম্ভাবনা সম্পর্কে জানাতে সর্বদা তৎপর থাকতেন।

“Who shall say that the mysteries of life and death are unscientific? Was it not rather that they embraced those gaps of science not yet understood? Mysteries which, if only we could understand them, would be mysteries no longer?”

আবার ‘দ্য ভ্যানিশিং পয়েন্ট’ -এর এই অনুচ্ছেদে কামিংস পরিষ্কার বলেছেন, প্রকৃতির শক্তির সামনে মানুষ কতটা ক্ষুদ্র, কতটা অকিঞ্চিতকর! আমরা যতটা জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি জানি না।  

“But sometimes we are swept by the greater viewpoint. Awed by the mysteries of nature, we realize how very small and unimportant we are in the vast scheme of things. We envisage the infinite reaches of astronomical space overhead. Realms of largeness unfathomable. And at our feet, everywhere, a myriad entrances into the infinitely small. With ourselves in between—with our fatuous human consciousness that we are of some importance to it all! Truly there are more things in Heaven and Earth than are dreamed of in our philosophy!”

রে কামিংসের প্রায় সব লেখাতেই মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রেম ও দায়িত্বশীলতার কথা উঠে এসেছে। স্বৈরতন্ত্রের বিরোধ ও ন্যায় ব্যবস্থার প্রসঙ্গও ঘুরেফিরে এসেছে। 

৪) রে কামিংস-এর সঙ্গে এইচ জি ওয়েলস-এর তুলনা করা হাস্যকর। ওয়েলস যে ধরনের সোশ্যাল কমেন্টরি করতেন, তার বিন্দুমাত্রও কামিংসের লেখায় ছিল না।


১৯৪০ সালের আগে পাল্প কল্পবিজ্ঞানে সাধারণত মহাকাশ অনুসন্ধান, রোবট, বিপর্যয় আর ভিন্নগ্রহীদের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে লেখাই চল ছিল, অন্যান্য ধরনের রচনাকে তেমন উৎসাহ দেওয়া হত না। কিন্তু তা সত্ত্বেও রে কামিংস তাঁর গল্পে যে ধরনের ‘স্ট্যান্ড’ নিয়েছেন, সেটা কোনো কোনো জায়গায় আজও প্রাসঙ্গিক। 

‘ট্যারানো, দ্য কনকোয়েরর’ উপন্যাসে এক জায়গায় ট্যারানো বলছে—

“Ah! Patriotism! A good lure for the ignorant masses, that thing they call patriotism. For rulers, a good mask with which to hide their unscrupulous schemes.”

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!

কামিংস সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েই থামেননি, প্রয়োজনে ‘স্যাটায়ার’-ও করেছেন। ‘দ্য জাগারনট অফ স্পেস’-এর এই জায়গাটা পড়ে দেখুন - 

“This Vivian La Marr was the main reason why the Gayety was having trouble with the Anti-Vice League and was about to lose its license. She came up to me back stage—a lush, artificial blonde, heavy with makeup; with an amazing expanse of flesh smooth as satin, and a negligible tinseled costume that the Anti-Vice League did not like at all but which pleased the Gayety's customers very much.”   

প্রসঙ্গত বলা ভালো যে ১৮৭৩ সালে স্থাপিত এই সংগঠন ‘New York Society for the Suppression of Vice’ ( সংক্ষেপে এসএসভি) নাগরিকদের নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার আড়ালে লেখক, শিল্পী ও নাট্যকারদের উত্ত্যক্ত করত। গোঁড়া ক্রিশ্চানদের হাতে ক্ষমতা থাকায় তাঁরা যে কত নাটক ও বইকে নিষিদ্ধ করতে মামলা করেছে তার কোনো হিসেব নেই। ‘কল্পবিজ্ঞানের গল্পে সরাসরি ইশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়’— এই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই হোক অথবা অন্য কোনো কারণেই হোক, এই ধার্মিক দমনকারীরা বিশেষ করে পাল্প পত্রিকা ও লেখকদের উপর খাপ্পা থাকতেন। রে কামিংস যে এই ‘মোরাল পোলিশিং’ একেবারেই পছন্দ করতেন না, সেটা উপরের দু’ লাইনে সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। সঙ্গে এও জানিয়ে দিয়েছেন— এসএসভি যত ঝামেলাই করুক না কেন, শিল্পী ও লেখকরা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন।

৫) দু’টো বিশ্বযুদ্ধ সচক্ষে দেখার পরেও কামিংস ‘ডিসটোপিয়ান’ সাহিত্য নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননি। দু’একটা ব্যতিক্রম বাদে তিনি সব গল্পেই ‘ইউটোপিয়া’ সৃষ্টি করতেন।

কথাটা খুব একটা ভুল নয়, যদিও সাড়ে সাতশ গল্পের মধ্যে কতগুলো লেখা পড়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটা জানার কোনো উপায় নেই। ভিন্নগ্রহে ডিসটোপিয়ান শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কামিংস অবশ্যই লিখেছেন কিন্তু প্রাথমিক ভাবে তাঁর গল্পে আশার আলো দেখতে পাওয়া যেত। গল্পের চরিত্রদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হত কাহিনী চলাকালীন, আর শেষে সুখী ভবিষ্যতের একটা চিত্র আঁকতে চেষ্টা করতেন কামিংস। কিন্তু তাঁর সৃষ্ট ইউটোপিয়ান দুনিয়াও যে ‘পারফেক্ট’ নয়, সে কথা তিনি নিজেই বার বার বলেছেন।  

‘দ্য গার্ল ফ্রম ইনফিনিট স্মলনেস’-এর এই অনুচ্ছেদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি— 

“Nature had always been kind; food was readily grown; the people's few wants always had been easily supplied. Crime among them had always been very little. But there was

some, of course—crimes of fundamental motive; love, hate, jealousy, cupidity, revenge. Wherever humans exist, such crimes are inevitable.”

অভিযোগের ফিরিস্তি প্রায় শেষ, কিন্তু আরো দু’ চারটে কথা বলা প্রয়োজন। এ কথায় সংশয় নেই যে রে কামিংস বৈজ্ঞানিক ছিলেন না, ছিলেন আদপে এক গল্পবলিয়ে। তাঁর লেখা রচনায় গল্প প্রাধান্য পেয়েছে, বিজ্ঞান নয়। কল্পবিজ্ঞানের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের পাঠকদের মনে বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহ জাগাতে তিনি প্রয়োজনীয় বর্ণনা দিয়েছেন ঠিকই ( এমনকি মহাকাশযান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে গ্র্যাভিটি প্লেটস ও ইথারিক প্রেসার মেকানিজম-এর কথাও লিখেছেন) কিন্তু ভুল করেও ‘ইনফোডাম্প’ করেননি।

আরও পড়ুন : রে কামিংস: পাল্প কল্পবিজ্ঞানের বিস্মৃত নায়ক (প্রথম কিস্তি) / সুদীপ চ্যাটার্জী 

এই প্রসঙ্গে ১৯৪৪ সালের একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। রে কামিংস-এর লেখা এক প্রবন্ধ পড়ে এক পাল্প পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক বলেছিলেন, কামিংস-এর প্রবন্ধ পড়া আর আসিমভের গল্প পড়া একই ব্যাপার! আসিমভ যে ভালো গল্প লেখেননি সেটা একেবারেই ভুল কথা, কিন্তু সে যুগের নিরিখে দেখতে গেলে পাঠকদের কাছে আসিমভ বিজ্ঞানের শিক্ষক আগে ছিলেন, গল্পকার পরে! আবার কামিংস আদ্যোপান্ত গল্পকার ছিলেন, বিজ্ঞান সম্পর্কে নন ফিকশন লেখার মতো বিদ্যা তাঁর ছিল না।

কিন্তু তা বলে রে কামিংস অন্যান্য লেখকদের শ্রদ্ধা করতেন না, সেটা ভাবা ভুল হবে। ১৯৪৫ সালে ‘ওয়্যারলেস ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকায় ‘এক্সট্রা ট্টেরেস্টরিয়াল রিলে’ নিয়ে প্রবদ্ধ লেখার জন্যে কামিংস নিজে আর্থার সি ক্লার্ককে জোরাজুরি করেছিলেন বলে শোনা যায়।”  




রে কামিংস মহৎ সাহিত্যিক ছিলেন কি না সে নিয়ে তর্ক হতেই পারে, কিন্তু কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পাঠককে প্রাপ্তমনস্ক করে তুলতে তিনি যে অবদান দিয়েছেন সেটা কোনো ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। পাল্প সাহিত্যের এই বিস্মৃত নায়ক প্রায় পঞ্চাশ বছর আগেই তাঁর সৃষ্ট ইউটোপিয়ান দুনিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর অনুরাগী পাঠকদের মণিকোঠায় তিনি আজও একই ভাবে উজ্জ্বল।  

..........................


#Ray Cummings #science fiction #কল্পবিজ্ঞান #রে কামিংস #সুদীপ চ্যাটার্জী #সিলি পয়েন্ট #ওয়েবজিন #Web Portal

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

0

Unique Visitors

182898