বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

দিনের শেষে ঘুমের দেশে

অর্পণ পাল Jan 11, 2022 at 10:50 am বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

১৮৬৫ সাল। বেলজিয়াম শহরে শীতের রাত। অগাস্ট কেকুলে নামে এক রসায়নের অধ্যাপক নিজের রসায়নাগারে বসে আছেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে। তাঁর মাথায় ঘুরছে বেঞ্জিন নামে এক ধরনের দাহ্য হালকা হলুদ রঙের তরলের কথা। এই যৌগের একটা অণু তৈরি হয় ছ-টা কার্বন আর ছ-টা হাইড্রোজেন পরমাণু দিয়ে। কিন্তু বেঞ্জিনের মধ্যে কী করে পরমাণুগুলো সজ্জিত থাকে, বা সেগুলোর মধ্যে বন্ধনই বা কীভাবে গঠিত হয়, সে সব তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কেকুলে তাঁর ঘরের মধ্যে বসে এই নিয়ে ভেবে চলেছেন। কিন্তু প্রবল শীতের জন্য তিনি মন দিয়ে ভাবতে পারছিলেন না। এ জন্য তিনি সরে গেলেন ঘরের কোণে জ্বলতে থাকা আগুনের কাছে। উষ্ণ পরিবেশে চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে তাঁর ঘুম পেয়ে গেল। আর ওই ঘুমের মধ্যেই তিনি দেখলেন এক আজব স্বপ্ন। একটা সাপ দেহটাকে পেঁচিয়ে নিয়ে নিজেই নিজের লেজকে কামড়ে ধরেছে। স্বপ্নটা দেখার পরেই তাঁর ঘুম ভেঙে গেল। আরে, এই তো পাওয়া গেছে সমাধান! বেঞ্জিনের গঠন তো প্যাঁচানো সাপের মতোই হতে পারে। ষড়ভূজাকার।


(বেঞ্জিনের একটি অণুর গঠন চিত্র। কালো বলগুলো কার্বনের পরমাণু, সাদাগুলো হাইড্রোজেনের। প্রত্যেকটা কার্বন পরমাণুর চারটে হাত (যোজ্যতা), একটা হাতে ধরে আছে পাশের কার্বনকে, আর দুটো হাতে ধরে আছে অন্য পাশের কার্বনকে, আর চতুর্থ হাতে ধরে আছে একটা করে হাইড্রোজেন পরমাণুকে। পুরো বিষয়টাতে রয়েছে একটা অদ্ভুত সামঞ্জস্য।) 

এই কেকুলে ছিলেন সে আমলের একজন বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী। আধুনিক জৈব রসায়নের ভিত্তি-নির্মাতাদের অন্যতম তিনি, বছর সাতেক আগে আবিষ্কার করেছেন যে কার্বন পরমাণুদেরকে একের পর এক জুড়ে তৈরি করা যায় লম্বা শৃঙ্খল। অসংখ্য জৈব যৌগ তৈরি হতে পারে কার্বন পরমাণুর এই বিশেষ ধর্ম থাকার জন্য। কিন্তু আজ তাঁর নাম বিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে লেখা থাকে বেঞ্জিনের গঠন আবিষ্কারের জন্যই। আর সেখানেই রয়ে গেছে তাঁর ওই স্বপ্নের মুখ্য ভূমিকার গুরুত্ব। 

সত্যি, স্বপ্ন মানুষকে আরও কতবার যে বড় আকারের আবিষ্কারের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে সে আর কত বলব! ধরা যাক আর একজনের কথা, তাঁর নাম আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস। ভদ্রলোক ইউরোপ থেকে অভিযানে বেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রাজিল আর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। ভূ-প্রকৃতি কীভাবে জীব জন্তুর চেহারা-স্বভাবচরিত্রকে বদলে দিতে পারে, সে সম্বন্ধে তথ্য জোগাড় করাই ছিল তাঁর অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে যেতে লাগল, নতুন প্রজাতির জীব কীভাবে তৈরি হয়, সে রহস্যের সমাধান তিনি করে উঠতে পারলেন না। অবশেষে এল ১৮৫৮ সাল। নতুন আবহাওয়ায় তিনি আক্রান্ত হলেন জ্বরে। সেই অসুখের মধ্যেই একদিন ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে পেয়ে গেলেন প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ বা ‘ন্যাচারাল সিলেকশন’ তত্ত্ব। 

নতুন কোনও গাণিতিক ফর্মুলা (যেমনটা নাকি পেয়েছিলেন আমাদের ভারতের গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন) পাওয়া হোক, বা কোনও আবিষ্কারের দোরগোড়ায় গিয়েও আটকে যাওয়া থেকে উদ্ধার পাওয়া, স্বপ্ন অনেকের কাছেই মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিয়েছে, ইতিহাস তার সাক্ষী। তাঁরা নিজেরাই সেই সব স্বপ্নের কথা পরে ফলাও করে লিখে রেখে গিয়েছেন। 

হ্যাঁ, স্বপ্ন তো আমরা ঘুমের মধ্যে ‘দেখি’ই। আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে কখনও স্বপ্ন দেখিনি। গভীর ঘুমের মধ্যে কোনও ভূতের স্বপ্ন দেখে তারপর ঘুম ভেঙে যাওয়ার মধ্যে যে গা ছমছমে ব্যাপার রয়েছে, সে অভিজ্ঞতাও আমাদের মধ্যে অনেকেরই হয়েছে। 

কিন্তু স্বপ্ন কী, এটা নিয়ে আমরা কখনও ভেবেছি কি? 

খুব সহজ করে বললে, ঘুমের মধ্যে একটা পর্যায়ে (সাধারণত শেষের দিকে) মস্তিষ্কের একটা অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, আর সেইসময় চোখের সামনে ভেসে ওঠে দৃশ্যের পর দৃশ্য, কখনও সেটা রূপ নেয় পারম্পর্যযুক্ত একটা গোটা ঘটনা হিসেবে; সেগুলোকেই আমরা পরে চিহ্নিত করি স্বপ্ন হিসেবে। এমনিতে ঘুমের মধ্যে যে কোনও সময়েই স্বপ্ন দেখতে পারে মানুষ, তবে বিশেষ করে ঘুমের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সেই সময়টায় চোখের মণির একটা চলন ঘটে অনেকের, বাইরে থেকেই সেটা দেখলে বোঝা যায়; সেটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘REM’— Rapid Eye Movement। যেন সে কোনও কিছু দেখছে সত্যি-সত্যিই, অন্য কেউ তার দিকে তাকালে এমনটাই ভাববে। চোখের ওই নড়াচড়া দেখে বোঝা যায় যে মানুষটা জমিয়ে স্বপ্ন দেখছে। যেহেতু আমাদের ঘুমের মধ্যে শেষের দিকে এই ব্যাপারটা ঘটে, সেইজন্যেই বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে স্বপ্ন দেখতে দেখতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। ভালো কোনও স্বপ্নে, যখন কেউ বিয়েবাড়িতে সবে সুখাদ্য খাওয়া শুরু করতে যাবে, সেইসময়েই ঘুম ভেঙে গেলে তার বিরক্তি আসাটা কি অস্বাভাবিক? 

ঠিক তেমনই দুঃস্বপ্ন দেখে আঁতকে ওঠার অভিজ্ঞতাও হয়েছে আমাদের। কিন্তু আসলে আমরা ঘুম ভাঙার পর বেশিরভাগ সময়েই কী স্বপ্ন দেখলাম, সেটা মনে রাখতে পারি না। অবশ্য আমরা ঘুমের মধ্যে একাধিকবারও স্বপ্ন দেখে থাকি, বেশিরভাগ সময় শেষেরটাই মনে রয়ে যায়। 

স্বপ্নের এই ভুলে যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেল ঠাকুরবাড়ির কথা। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, যেখানে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই বাড়িতেই বড় হয়েছিলেন আর এক মহান শিল্পী, অবনীন্দ্রনাথ। তাঁর নাতি মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়। ইনি তখন ছোট। বাড়ির বড়দের দেখতেন গল্প-কবিতা লিখে পত্রিকায় ছাপাতে। দেখে তাঁরও লেখবার হল শখ। কিন্তু লিখবেন কী করে? বড়দের দেখাদেখি ছোটদের তো লেখবার ইচ্ছে হতেই পারে, তাই না? তা অবনীন্দ্রনাথ বুদ্ধি বাতলে দিলেন। বললেন, তোরা তো রাতে স্বপ্ন দেখিস, তা রোজ সকালে উঠে চলে আসবি আমার কাছ, আর ওই স্বপ্নগুলোই চটপট লিখে ফেলবি। দেখবি কত সুন্দর লেখার পাহাড় জমে ওঠে। 

পরের দিন সকালে বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠে দাদামশাইয়ের ঘরের সামনে এসে দেখল আগে থেকেই সেখানে রাখা আছে একটা বড় কাগজ গুটিয়ে রাখা। তাতেই তারা একের পর এক লাইন দিয়ে লিখে ফেলল সদ্য দেখে আসা স্বপ্নের কথা। অবনীন্দ্রনাথ তাঁদের উৎসাহ দিতে নিজেও লিখে দিলেন একটি গল্প। তারপর বেশ কিছু লেখা জমে গেলে একদিন সেগুলো নিয়ে বসে একের পর এক পড়া হল। আর সেই লেখাগুলো একসঙ্গে করে বের করা হল হাতে লেখা পত্রিকা। নাম ‘স্বপ্নের মোড়ক’। কিন্তু দিন কয়েক পরে সে পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু ছেলেদের আবদারে আবার শুরু হল একটা হাতে লেখা পত্রিকা। এবার নাম দেওয়া হল ‘দেয়ালা’। বাচ্চারা মায়ের কোলে যে আপন মনে হাসে-কাঁদে, সেটাকেই বলে দেয়ালা। ঠাকুরবাড়ির কচিকাঁচারা লেখার হাত পাকাতে যেমন খুশি লিখবে, তাই এই নাম। বড়রা সেদিন কিন্তু তাঁদের মোটেই নিরুৎসাহিত করেননি। 

ঘুমের মধ্যে এমন নতুন আবিষ্কার মাথায় আসে কীভাবে? পড়ুন : আপনি কি ঘুমোতে ভালোবাসেন?//সৌভিক সিনহা

কোন কথা থেকে কোথায় চলে এলাম। আমরা বলছিলাম স্বপ্নের কথা। হয়তো মনে প্রশ্ন এল কারও, আচ্ছা, মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা স্বপ্ন দেখে? 

হঠাৎ ভাবলে মনে হতে পারে, এ কথা আমরা জানব কীভাবে? কোনও পশু বা পাখি তো এসে আমাদের বলে যেতে পারবে না যে সে স্বপ্ন দেখেছে কি না, বা দেখে থাকলে কি দেখেছে। বিড়াল কি আর বলতে পারবে যে সে মাছের স্বপ্ন দেখেছে কি না? তাহলে আমরা জানব কী করে? 

হ্যাঁ, বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল জানবার পর এখন আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে পশুরাও, এমনকি পাখিরাও স্বপ্ন দেখে। প্রায় সত্তর বছর আগের কথা। ১৯৫৩ সাল। সে বছরই আবিষ্কার হল ‘REM’ ব্যাপারটা। সেই বিশেষ অবস্থা, ঘুমের মধ্যে যখন চোখের মণি চলাফেরা করে, আর মস্তিষ্কে চলে নানা ইলেকট্রিক সিগন্যালের চলন। মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা দেখবার পর বিজ্ঞানীরা তাকালেন ঘুমন্ত পশুদের দিকে। দেখা গেল, প্রায় সব পশুই, সে স্তন্যপায়ী হোক বা সরীসৃপ, একইভাবে ‘REM’ দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ঘুমানোর সময়। তাদের ক্ষেত্রেও মস্তিষ্কের মধ্যে ইলেকট্রিক সিগন্যালের চলন মানুষেরই মতো যা দেখে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতই হলেন যে পশুরাও স্বপ্ন দেখে। তবে এই প্রমাণ, প্রত্যক্ষ নয় অবশ্যই। 

ধরা যাক বেড়ালের কথা। ঘুমন্ত মা-বেড়াল তার বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরছে, বা কোনও কাল্পনিক কিছু একটাকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে, এসবই ইঙ্গিত করে যে স্বপ্ন দেখে তারাও। বছর কয়েক আগে, ২০১৫ সালে লন্ডনে করা এক পরীক্ষাতেও এটা পরিষ্কার জানা গিয়েছে যে ইঁদুর যখন ঘুমায়, তখন তাদের মস্তিষ্কে বেশ কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া চলে। যেটা বুঝতে পারা যায় তাদের ব্রেন প্যাটার্ন দেখতে পেলে। পরীক্ষাগারে ইঁদুরের সামনে খাবার দেখিয়ে তারপর তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আর ঘুমন্ত অবস্থায় রেকর্ড করা হয়েছে তাদের ‘ব্রেন-অ্যাকটিভিটি’। পরে তাদেরকে জাগিয়ে তুলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই খাবারের সামনে। তারা যখন খাবারটাকে নাগালের মধ্যে পেয়ে গিয়েছে, তখন আর একবার রেকর্ড করা হয়েছে তাদের ‘ব্রেন-অ্যাকটিভিটি’। এই দুই প্যাটার্ন পাশাপাশি রেখে দেখা গিয়েছে যে সে দুটোর মধ্যে রয়েছে দারুণ মিল। যা দেখে বিজ্ঞানীরা নিঃসন্দেহ হয়েছেন যে ওদের স্বপ্নে ওরা ওই খাবারকেই খেতে দেখেছে। 

এমনিতে গভীর ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখবার সময় আমাদের দেহের পেশিগুলি সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে (যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে Atonia, সাময়িক শারীরিক-প্রতিবন্ধী দশা), যেটা অনেকের ক্ষেত্রে না হলে দেখা যায় যে সে হাত পা ছোঁড়ে বা অনেক সময় খাট থেকে পড়ে যায়। ওইসময়েও মানুষের (বা পশুপাখিদেরও) মস্তিষ্ক কিন্তু সজাগ থাকে জেগে থাকাকালীন সময়ের মতো। ওই ‘REM’ দশায় মানুষ আর অন্য প্রাণির মস্তিষ্কের ‘ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকটিভিটি’ প্রায় সমান, আর সেটাই পশুদের স্বপ্ন দেখার পক্ষে সবচেয়ে বড় ক্লু। 

আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটা লুকানো স্বপ্ন থাকে – ইস্‌ যদি একদিন এমন হয় যে সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাব, কেউ ডাকবে না, কোনোভাবে বিরক্ত করবে না; কী ভালোই না হবে! ঘুমাতে ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। যে কোনও লোকাল ট্রেনে উঠলেই দেখা যায়, দিনের যে কোনও সময়েই, কেউ না কেউ ঠিক ঘুমিয়ে চলেছেন। তখনও স্বপ্ন দেখে চলেন কেউ কেউ। 

প্রায় বারো শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে মানুষ সাদা-কালো স্বপ্ন দেখে। মানে তিনি যা দেখছেন, তা এক সাদা-কালো সিনেমার দৃশ্যের মতো। তবে এটা বেশি দেখা যায় বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে। স্বপ্ন নিয়ে খোঁজখবর নিলে জানা যায় আরও এরকম বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য। আরও একটি তথ্য, অন্ধ মানুষেরাও স্বপ্ন দেখেন। আর পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ মানুষই যে সব দৃশ্য স্বপ্নে প্রায়ই দেখে থাকেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কারও তাড়া খাওয়া, তাড়া খেয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা কিন্তু কোনওমতে ছুটতে না পারা বা গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যাওয়া। স্বপ্নে কী দেখলে কী ঘটতে পারে বাস্তবে, এইসব নিয়েও চর্চা হয়েছে বহু। এ ধরনের বইও বাজারে পাওয়া যায় যাতে স্বপ্নের মানে বা অর্থ দেওয়া থাকে। তবে এসব একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত না। স্বপ্ন স্বপ্নই, তার আলাদা কোনও অর্থই হয় না। 

স্বপ্ন নিয়ে অনেক কিছুই তো বলা হল, এখন মনে পড়ছে আমাদের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম-এর একটা কথা দিয়ে, স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দ্যাখো; স্বপ্ন সেটাই, যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না। কথাটা মনে রাখবার মতো। তবে এই স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখবার না, জীবনে কিছু একটা করতে পারবার সংকল্প, যা আমাদেরকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। তবে আর জ্ঞানের কথা না, হালকা চালের একটা গল্প বলে ইতি টানব। একজন রাতে ঘুমাবার সময় চশমা পরে নিয়েছিল দেখে তার বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করে, কী রে ঘুমাতেও তোর চশমা লাগে? তখন বন্ধুটি বলে, সেকি, চশমা না লাগালে স্বপ্ন দেখব কী করে? 

সত্যিই তো, যাঁদের চোখের সমস্যার জন্য চশমা পরতে হয়, তাঁরা কি ঘুমাবার আগে চশমা পরে নেন?


#স্বপ্ন #ঘুম #স্বপ্নে পাওয়া #আবিষ্কার #বিজ্ঞান #বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি #অর্পণ পাল #বেঞ্জিন #সিলি পয়েন্ট #বাংলা পোর্টাল #ওয়েবজিন

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

56

Unique Visitors

181977